Saturday, January 29, 2011

মেঘবন্তী

অনেকদিনের অনেক পুরানো সব লেখা, হলদে হয়ে গেছে খাতার পাতাগুলো, কেমন যেন জীর্ণও হয়ে গেছে। কোণাগুলো ভেঙে ভেঙে গেছে, কাগজের গুঁড়ো জমা হয়েছে মধ্যের ভাঁজে ভাঁজে। ইচ্ছে করে হাত দিয়ে ছুঁতে, খুব সাবধানে হাত রাখি, হাত বোলাই। পাছে আরো ভেঙে ঝুরো ঝুরো হয়ে যায়, তাই এই সাবধানতা।

যে দিন গেছে চলে---। জীর্ণপাতার ওই খাতার মধ্যে রয়ে গেছে তার পায়ের চিহ্ন, ধানগন্ধী হেমন্তবেলা, মরিচগন্ধের গ্রীষ্মদুপুর, ইলিশগন্ধী বৃষ্টিবেলা ..... সবার চলে যাবার শব্দ রয়ে গেছে।

ধূলাভরা বান্ডিলের মধ্যে কেন মীরা আগলে রেখেছিলো এইসব এতদিন? একদিন এসে খুঁজবো বলে? নাকি অন্য কেউ, অন্য কোন তরুণ বয়সী কেউ এই বয়সী বটের কচিবেলার সুখদু:খ চিনবে বলে?

শুভ্র দেবদূত, দ্যুতিময় পলাতক
স্বপ্ন ভেঙে চলে যায়
পড়ে থাকে হংসপালক।

কুচি ঘাস ঢেকে রাখে তোমার শরীর
মিহি মিহি অভ্রকণা-
ঝরা পালকের মত নীলাভ ঘড়ির।

বিশ্বাস কথাটার রঙ কি সবুজ?
পড়ে আছে একফালি-
বাকী সব কৃতঘ্ন ইঁটগম্বুজ।

নদী চলে গেছে মরুপার
বালিতে উলঙ্গ ক্ষুধা
স্ফটিকের ফণা সারসার।

খান্ডবদাহনে পোড়া এ জন্মজমিন
এবারে ওড়াও ছাই
আসুক কৃষ্ণিকামেঘ পারাপারহীন।

No comments: