আকাশে নিঃস্বর মঞ্জীর বাজিয়ে চলে যাচ্ছে নক্ষত্রঝড়। জন্মমৃত্যু এক হয়ে গেছে যে বিরাট মোহনায়, তার কিনারপাহাড়ের পাথরে রয়ে গেছে কারুকার্য্য। অন্ধকারে সেই কারুকাজ দেখা যায় না, দেখা যায় না তার বর্ণ।
শেষরাত্রির শনশন পার হয়ে আকাশের কপালে জেগে ওঠে ঊষা, তারপরে জাগে জবাকুসুম সূর্য, কিছু পরেই উজ্জ্বল হয়ে হিরণ্যবর্ণ। সেই আলোতে দেখা যায় চিত্রল কথামালা, রক্তবর্ণ ও হিঙ্গুলবর্ণ রঞ্জকে রঞ্জিত।
ঝিনুক ছড়ানো বালি পার হতে হতে
দক্ষিণ থেকে আরও দক্ষিণে
সরে যেতে থাকে চিত্রা-
আবরণহীন পায়ের তলায়
শিরশিরে সাদা ফেনার সিক্ত আবেদন
যেন বলছে, "ফিরে এসো, ফিরে এসো"
কিন্তু ফেরার তো উপায় নেই চিত্রলেখার !
হাতের দর্পণ ভেঙে গিয়ে
টুকরো টুকরো কাচ চারিদিকে,
ছড়িয়ে পড়া অগণন স্ফটিকে
জ্বলছে একটাই সূর্য-
সেই সূর্য এখন কন্যারাশিতে,
আকাশ অপরাজিতা-নীল।
হিরণ্যরথ আসবে বলে
প্রথমে এলো পবনদূত
তারপরে ঝাঁকে ঝাঁকে নীলকন্ঠ পাখি,
উদয়দিগন্ত থেকে-
কোথায় যেন বাঁশি বেজে ওঠে,
কোথায় যেন বীণা....
Wednesday, October 28, 2015
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment