Tuesday, November 17, 2020
ভোরের নৌকো
ভোরের নৌকো ভরা কুসুম কুসুম রোদ-
ঘাটের মন্দির থেকে শঙ্খে শঙ্খে
অলৌকিক মর্মধ্বনি বাজে-
শিশির শুকিয়ে আসে পাতায় পাতায়,
কোমল সূর্যরেখা কড়া হয়ে ওঠে।
মাঠভরা ধানীরঙে বেজে ওঠে
ছুটির সকালের ম্যাজিক-
হু হু হাওয়ায় সবুজ আঁচলের
উড়ালী নৃত্য
আকাশের ভিতর
আকাশের ভিতরে আরও গহীন আকাশে
ব্যপ্ত হয়ে আছে অধরা আলোর দিব্যকথকতা ।
দৃষ্টির সীমার ওপারে যেখানে এই
অরণ্যহৃদয়ে মর্মরিত হাওয়া নেই,
নেই এই অমেয় জল
নদী দিঘি সমুদ্রশরীরে,
দিকদিগন্ত ছেয়ে আসা
এই নক্ষত্রমঞ্জরিত রাত্রি নেই -
এসবের পরপারে বিছিয়ে আছে
সেই গভীর, গভীরতর অন্য আকাশ ।
Saturday, April 30, 2016
অশেষ চিঠি
তোমার চিঠিটা অশেষ হয়ে রইল
খাতার পাতায় ঐ চিঠি লেখা হতে হতে -
পাতার শেষদিকে এসে থেমে গেছে
অসমাপ্ত একটা বাক্যের মধ্যে-
অনিঃশেষ ঐ চিঠি রেখে ভোরবেলা
ফুলে ঢাকা পথ দিয়ে চলে গেলে-
ফেরার কথা বলে যাও নি,
হয়তো ফিরবে, হয়তো না-
কে বলতে পারে!
কাকে লিখছিলে চিঠি?
নামহীন সম্বোধনহীন ঐ চিঠির সামনে দাঁড়ালেই
সবুজ আরণ্যক বিষাদে ছেয়ে যায় ভিতর-বাহির,
কাকে লিখেছিলে, "শোনো, তোমাকে বলি----"
এই "তুমি" কে? কার ছায়া সে?
খাতার পাতায় ঐ চিঠি লেখা হতে হতে -
পাতার শেষদিকে এসে থেমে গেছে
অসমাপ্ত একটা বাক্যের মধ্যে-
অনিঃশেষ ঐ চিঠি রেখে ভোরবেলা
ফুলে ঢাকা পথ দিয়ে চলে গেলে-
ফেরার কথা বলে যাও নি,
হয়তো ফিরবে, হয়তো না-
কে বলতে পারে!
কাকে লিখছিলে চিঠি?
নামহীন সম্বোধনহীন ঐ চিঠির সামনে দাঁড়ালেই
সবুজ আরণ্যক বিষাদে ছেয়ে যায় ভিতর-বাহির,
কাকে লিখেছিলে, "শোনো, তোমাকে বলি----"
এই "তুমি" কে? কার ছায়া সে?
কৃষ্ণ-কথাকলি
একদিন মাঝরাতে খাঁচার দরজা খুলে যাবে,
আকাশে গোল ঘড়ির মতন
একটা নীলাভ চাঁদ ঝুলে থাকবে।
আর, দুই পাখি গল্প করতে করতে উড়ে যাবে-
যাদের নাম দিয়েছিলাম কৃষ্ণকলি আর কথাকলি।
আকাশে গোল ঘড়ির মতন
একটা নীলাভ চাঁদ ঝুলে থাকবে।
আর, দুই পাখি গল্প করতে করতে উড়ে যাবে-
যাদের নাম দিয়েছিলাম কৃষ্ণকলি আর কথাকলি।
অশ্বত্থ
আকাশে দপদপ করছে বৈশাখের সূর্য
আর আমি কেবলই খুঁজছি ছায়া-
দিঘির পাশে যে নাতিপ্রাচীন অশ্বত্থ গাছটা ছিল,
ওর ঠান্ডা ছায়াটুকু পেয়ে গেলেই
সেখানে ঘাসের উপরে এলিয়ে পড়ে
শান্ত বিশ্রামে তলিয়ে যাবো ।
কিন্তু- সেই অশ্বত্থ কোথায়? নেই আর?
কিন্তু ও তো তেমন বুড়ো হয় নি !
আর আমি কেবলই খুঁজছি ছায়া-
দিঘির পাশে যে নাতিপ্রাচীন অশ্বত্থ গাছটা ছিল,
ওর ঠান্ডা ছায়াটুকু পেয়ে গেলেই
সেখানে ঘাসের উপরে এলিয়ে পড়ে
শান্ত বিশ্রামে তলিয়ে যাবো ।
কিন্তু- সেই অশ্বত্থ কোথায়? নেই আর?
কিন্তু ও তো তেমন বুড়ো হয় নি !
সূর্যের বাঁশি
তোমার কথারা ব্যথার অন্তঃপুরে
রূপকথা বোনে পলাশপ্রহর জুড়ে ।
সে রূপকথায় সূর্যের বাঁশি বাজে
গহীনের গান অলীক আখরে সাজে ।
সেই রূপকথা অরূপবীণার তারে
অফুরান ছোঁয়া রেখে যায় বারে বারে।
রূপকথা বোনে পলাশপ্রহর জুড়ে ।
সে রূপকথায় সূর্যের বাঁশি বাজে
গহীনের গান অলীক আখরে সাজে ।
সেই রূপকথা অরূপবীণার তারে
অফুরান ছোঁয়া রেখে যায় বারে বারে।
বৃষ্টিসম্ভবা
তুমি আসবে বলে বার্তা পাঠালেই
বৃষ্টিসম্ভবা মেঘে ভরে ওঠে নিদাঘ-আকাশ,
দহনদুপুর জুড়িয়ে যায় সজল শ্যামছায়ায় ।
তোমার আসার সময় হলেই
রঙে ভরে ওঠে বিবর্ণ শূন্যতা-
প্রজাপতিরা দলে দলে ডানা কাঁপিয়ে
বাতাসের মঞ্চে যৌথনৃত্যে মেতে ওঠে ।
অপেক্ষা করতে করতে ক্লান্ত হয়ে যখন ঘুমিয়ে পড়ি,
তখন তুমি আসো আলৌকিক আলোর বারান্দায়,
তোমার পায়ে নক্ষত্রের নুপূর বেজে ওঠে-
ঘুমের পর্দা সরিয়ে আমার আর দেখা হয় না ।
বৃষ্টিসম্ভবা মেঘে ভরে ওঠে নিদাঘ-আকাশ,
দহনদুপুর জুড়িয়ে যায় সজল শ্যামছায়ায় ।
তোমার আসার সময় হলেই
রঙে ভরে ওঠে বিবর্ণ শূন্যতা-
প্রজাপতিরা দলে দলে ডানা কাঁপিয়ে
বাতাসের মঞ্চে যৌথনৃত্যে মেতে ওঠে ।
অপেক্ষা করতে করতে ক্লান্ত হয়ে যখন ঘুমিয়ে পড়ি,
তখন তুমি আসো আলৌকিক আলোর বারান্দায়,
তোমার পায়ে নক্ষত্রের নুপূর বেজে ওঠে-
ঘুমের পর্দা সরিয়ে আমার আর দেখা হয় না ।
Subscribe to:
Posts (Atom)