কাকজ্যোৎস্নায় বালিহাঁস ওড়ে, সাগরতীর গর্ভিণী নৈ:শব্দ নিয়ে পড়ে থাকে চুপ। চুপ করে পড়ে পড়ে ভিজতে থাকে গহন রাতের অলীক আলোয়। মিশরী ওড়নার মতন নেমে আসে শিরশিরে শিশিরকণা, বুঝি বা ঐ নীল চিত্রা তারার কাছ থেকে। ওরই জন্যে বুঝি সমুদ্রঝিনুকেরা ডানা মেলে রাখে? বুকের ভিতর শিরশিরে ব্যথাকে মুক্তা করে ফলাবে বলে?
তীররেখা বরাবর হেঁটে যাই একা একা আধোঘুমে আধো জাগরণে। মগ্ন চেতনায় জেগে থাকে অশ্রুলবণ। আর জেগে থাকে কবেকার একটা ভুলে যাওয়া মুখ, টুলটুলে দুটি গাল, রেশমকোমল ফুরফুরে চুলের গোছা, চকচকে একজোড়া নবীন চোখ, টুকটুকে ঠোঁটে দুধমাখা হাসি।
হেঁটে যাই চেনা থেকে অচেনায়। নাকি চেনাজানাই ছিলো এইসব একদিন ?
কোনোদিন জানা ছিলো এই বালি?
চেনা ছিলো ও গহীন জল?
চেনা ছিলো ঐ মায়াচাঁদ ?
শোনা ছিলো ওই পাখিদের
দিগন্তপ্রিয় ডানার ধ্বনি?
মনে পড়ে না, কিছু মনে পড়ে না-
জানালায় উড়ে আসা পাখি,
নরম পালকে ভোররঙ-
সে যে কবে, কিছু মনে পড়ে না।
কাকজ্যোৎস্নায় বালিহাঁস ওড়ে,
ঝর্ণা-পাহাড়-নদী-মাঠ-ঘাট পার হয়ে
ওড়ে,ওড়ে ওড়ে-
স্মৃতির বাক্স খুলে বসি-
ভুলের পালক ছুঁয়ে দেখি
মনে পড়ে না, কিছু মনে পড়ে না-
কাকজ্যোৎত্স্নায় বালিহাঁস ওড়ে,
দিগন্তপ্রিয়েরা ওড়ে, ওড়ে, ওড়ে .............
Tuesday, August 12, 2014
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment