Monday, March 3, 2014

ইস্কুলবেলার গল্প(৬)

বাইরে আলোছায়ার খেলা চলছে আর হাত ধরাধরি করে আমরা দু'জন পরিপার্শ্ববিচ্ছিন্ন হয়ে ফিরে গেছি আমাদের কিশোরীবেলায়। সেই তখন, যখন আমাদের বিশ্বাস ছিলো কাঁচা আর বিশুদ্ধ, যখন আমাদের মনের মোড়কটা কচ্ছপের খোলার মতন হয়ে যায় নি।

বৃষ্টি ঝরানো মেঘের মতন আমরা হালকা হয়ে যেতে থাকি। কিছুটা সময় পার হয়ে যায়। কতটা? হয়তো মিনিট কুড়ি পঁচিশ কি তারো কম। আমাদের মনে হয় যেন যুগ পার হয়ে যাচ্ছে। সেই আঠেরোর খোলসের মধ্যে সময়ের স্রোত এড়িয়ে পিউপার মতন যে দু:খ বন্দী হয়ে ছিলো, তা আস্তে আস্তে সময়জলের ছোঁয়ায় মুক্ত হয়ে উড়ে গেল বাতাসে। আমরা শান্ত হয়ে আসি দু'জনেই, এখন আবার হয়তো নিরাসক্ত পর্যবেক্ষকের মতন কথা বলতে পারবো সেই ঘটনা নিয়ে।

হ্যাঁ, সেই উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্ট। সে জিনিস যা হয়েছিলো তা ছিলো একেবারেই আমাদের সব হিসাবের বাইরে। আসলে হয়তো চারপাশের মানুষদের আর শিক্ষিকাদের এত এক্সপেক্টেশান আমাদের নিজেদের সম্পর্কেও ও লার্জার দ্যান লাইফ একটা ধারণার জন্ম দিয়েছিলো। আমরা ভাবতে আরম্ভ করেছিলাম "কেন হবে না? এখান থেকে, এই অজপাড়াগাঁয়ের স্কুল থেকেও সম্ভব হবে রেকর্ড নম্বর তোলা। মাধ্যমিকে সম্ভব হলে কেন উচ্চমাধ্যমিকে হবে না? "

আমাদের ধারণা আর অনুমানে মারাত্মক ভুল ছিলো। ক্যানিউটের চেয়ে অনেক বেশী ক্ষমতার কেউ ঠিকই আমাদের সীমা নির্দেশ করে দিলো, "দাস ফার অ্যান্ড নো ফারদার।"

সব চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেল, সব হিসেব ভেঙে গুঁড়িয়ে গেল। উচ্চমাধ্যমিকের সঙ্গে সঙ্গে যারা জয়েন্ট দিয়েছিলো তারাও পেল না কেউ। পরবর্তীকালে যে বিষয় নিয়ে যেভাবে লেখাপড়া করবে ভেবে রেখেছিলো এক একজন, সব বদলে গেল। কেউ কেউ দুনিয়া থেকেই পালালো জীবন ঠিক করে শুরু হতে না হতেই।

"অন্বেষা, আমি তখন তোর সাথে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছিলাম নানা ঘটনার আবর্তে। এতকাল পরে সাগরপাড়ে ফের তোর সঙ্গে দেখা হবার আগের কথা তো তেমন জানি না। সেই দিনগুলো কেমন করে কেটেছে তোর?"

অন্বেষা নিজের কপালের আর চোখের উপরে হাত বোলাতে থাকে কিছুক্ষণ। তারপরে হেসে উঠে বলে, " আরে তখন তো অনেকের ঘোর উল্লাস। সুদে আসলে পুরিয়ে শুনিয়ে দিয়ে যেতো কেমন করে আমার জীবনটা শেষ হয়ে গেল, কেমন করে আর কোনো প্যানাশিয়া দিয়েই এ রোগ আরোগ্য করা যাবে না। মানুষ এককালে যাকে মেটাফরিকালি কাঁধে তুলেছে সে যখন আছড়ে পড়েছে, সেটা সেলিব্রেট করবে না? রাজনীতিতে নামতে চাইলে নামতে পারি মনে হয়, একটা ভালো ট্রেনিং হয়ে গেছে তখন।"

এবারে আমিও হেসে ফেলি, সত্যি আমাদের লোকেদের সব কিছুই এত তীব্র আবেগে জরজর। কেউ জিতলো তো তাকে নিয়ে লাগামছাড়া লোফালুফি শুরু হলো। আবার কিছু বছর পরে সে যখন হারলো তখন " আরে তুই মরলি নে কেন? " টাইপের এক্সট্রীম সমালোচনা।

অন্বেষার মুখের উপরে একটা হালকা ছায়া, ও বলে, "শুধু আজও কষ্ট হয় শক্তিস্যরের আচরণের কথা ভেবে। ভদ্রলোক আমাকে ফিজিক্স পড়াতেন এগারো বারোয়, ওনার বাড়ীতে প্রাইভেট ব্যাচ ছিলো, তবে আমাদের কয়েকজনকে আলাদা করে ছোটো ব্যাচে পড়াতেন শনি-রবিবার। কত উৎসাহভরে হাইজেনবার্গ বোর শ্রোডিংগার এদের গল্প করতেন। সেই লোক রেজাল্টের পরে বাড়ী বয়ে এসে আমাকে বলে গেলেন আমার কিছুই নাকি আর হবে না, কিছুই আর হবার নেই। কোনো ওষুধেই এ রোগ সারবে না। এবারে বিয়ে থা করে আমাকে সংসার টংসার করতে হবে।"

আমি হাত বাড়িয়ে ওর হাত ধরি আবার, "মানুষ চেনা শক্ত রে। মাফ করে দে, উনি জানতেন না কাকে কী বলছেন।"

অন্বেষা হাসে, বলে, "সেদিন আমারও সেইরকমই মনে হচ্ছিলো রে। মনে হচ্ছিলো সামনে অন্ধকার একটা লবণসমুদ্র, কোথাও কোনো আশার আলো নেই। হাতেপায়ে জোর নেই, দু'চোখে ঘুম নেমে আসছে। মনে হচ্ছিলো অনেক তো হলো, আর কেন, এখন সত্যি সত্যি ঘুমিয়ে পড়া যাক। আবার মাঝে মাঝে মনে হচ্ছিলো হয়তো কোথাও কিছু ভুল হয়েছে, স্ক্রুটিনি করতে দিলেই হয়তো ধরা পড়বে। এরকম সব এলোমেলো ভাবনা, কী অদ্ভুত আমাদের ব্যবস্থা, কী আলগা জিনিসকে ধ্রুব বলে বিশ্বাস করতে শেখায়। স্কিল না, নলেজ না, কতগুলো নম্বরকে মোক্ষ বলে ধরে নিতে হয়, সেইগুলো ছাড়া আর কোনো প্রমাণ নেই, প্রমাণ দেবারও উপায় নেই।"

আমি আস্তে আস্তে বলি, "তারপরে? মরণগুহা থেকে কী করে তুই বেরিয়ে এলি জ্যান্ত? "

অন্বেষা বলে, " বেরুলাম কি? কেজানে? হয়তো সেখানেই মরে গেছি, বেরিয়ে এসেছে আমার পাথরমূর্তি, সিমুলেশন। এখন মনে হয় সেদিন যখন সব আশা ভরসা চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেল, তখন তার সঙ্গে গেল আমার মিথ্যা অহঙ্কারও। ভালোই হয়েছিলো একদিকে। সব আবার শূন্য থেকে শুরু করতে হলো। সব আবার নতুন করে ঢেলে সাজাতে হলো। তবুও ভাবি সেসময় ওভাবে সব না ভেঙে গেলে সেই পুরানো ধ্যানধারণা থেকেও তো বেরুতে পারতাম না। এক ভিশাস সাইকল থেকে আরেক ভিশাস সাইকলে ঢুকে যেতাম। এখন মনে হয় সেই বিপর্যয় শাপে বর হয়েছিলো।"

আমি বলি, "আমারও তাই মনে হয়। ঐ নম্বরের জন্য বড় শহরের কলেজে পড়া হোলো না তখন, ছোটো টাউনের কলেজেই পড়তে হোলো বটে কিন্তু পরে মনে হলো আশা-আকাঙ্ক্ষার বড় কলেজে গিয়েও যদি দেখা যেতো সেখানেও একইরকম মিনিংলেস মুখস্থবিদ্যা আর জীবনের সাথে যোগাযোগহীন সব পাহাড়প্রমাণ সিলেবাস, কেউ কোনো কিছু বোঝানোর বা বোঝারও চেষ্টা করে না, মুখস্থ করিয়ে বৈতরণী উতরে দিতে চায় শুধু, তাহলে মন আরো ভেঙে যেতো। "

অন্বেষা হেসে বলে, "ঠিকই বলেছিস রে তুলি। আমি কলেজের ঐ বছরগুলো কাটালাম সিডেটিভ দেওয়া রোগীর মতন, কেবল প্রার্থনা করতাম "ভোর কখন হবে? হয় আমার জীবনরাত্রি ভোর হোক না হয় এ অসহনীয় সময় শেষ হোক। কিছুটা জ্যান্ত মন অনুসন্ধিৎসু মন যেন বেঁচে থাকে, সবটা যেন না ক্ষয় হয় এই গ্রাইন্ডিং মেশিনে।"

আমি বলি, "প্রার্থনা তোর পুরেছে। টানেলের অন্য দিক দিয়ে বেরিয়ে এসেছিস। অনেকে পারে নি রে। চন্দ্রার কথা মনে আছে? স্কুলে ভালো ছাত্রী ছিলো, ভালো গানও গাইতো। অঙ্ক অনার্স নিয়ে পড়ছিলো, সেকেন্ড ইয়ারে নিজেকে শেষ করে দিলো। সবকিছু নাকি তেতো লাগছিলো। আর পারমিতা, সেও বায়োলজি অনার্স নিয়ে পড়ছিলো, মাঝপথে ছেড়ে দিয়ে বিয়ে করে ঘরসংসার শুরু করলো। আমায় বলেছিলো যা মন থেকে চাই তা যখন করতেই পারবো না অ্যাকাডেমিয়ায়, তখন মিছে দেয়ালে মাথা ঠুকে লাভ কী? তার চেয়ে সম্মানজনক রিট্রীট ভালো। মন দিয়ে সংসার করলে হয়তো কিছু ভালো পেতেও পারি। হয়তো তিরিশ বছর পরে আমার সন্তানের ক্ষেত্রে দেখতে পারবো জগদ্দল পাথর সরেছে, অচলায়তন ভেঙেছে। সত্যিকারের অনুসন্ধানী গবেষণা তারা করতে পারছে।"

অন্বেষার ঠোঁট নড়ে, আস্তে আস্তে প্রার্থনার মতন করে বলে, " সত্যিকারের শিক্ষাদীক্ষার দিন আসবে একদিন আসবেই, কিন্তু সে কবে? "





*****

বেলা পড়ে আসে, সূর্যের আলোয় নরম ভাব। যদিও এখনই আমাদের ফিরতে হবে না, কালও তো ছুটি, রবিবার। এখানের পিকনিক স্পটে দেওয়ালহীন কাঠের ছাদওয়ালা ঘরগুলো বেশ, রোদ বৃষ্টি থেকেও বাঁচায় আবার ঘরের ভিতর আছি বলেও মনে হয় না।

আমরা সে ঘর থেকে বার হয়ে লেকের কাছে গিয়ে বসি, পাড় থেকে ঝুঁকে পড়ে জলে হাত ছোঁয়ায় অন্বেষা, আমি যেন হঠাৎ লাইভ ইলেকট্রিক তার ছুঁয়েছি এমনভাবে ভিতরে ভিতরে চমকে উঠি, ওর হাত ছাড়া সবকিছু আউট অব ফোকাস হয়ে যায়, মনে পড়ে সায়ন্তনীর কথা। এটা আগের স্কুলের কথা, প্রাইমারির। ওখানে কিন্ডারগার্টেন ওয়ান থেকে ক্লাস ফোর অবধি ছিলো। ওটা ছিলো সহশিক্ষার স্কুল, ছেলেরা মেয়েরা একই স্কুলে পড়াশোনা।

"অন্বেষা, তোর সাথে একই স্কুলে পড়লাম গোটা প্রাইমারি, সেখানের তোর কথা মনে পড়ে না কেন রে? এর কারণ কী? আমার দুর্বল স্মৃতি নাকি অন্য কিছু? "

অন্বেষা হাসে, সে আবার পুরানো মুডে ফিরে গেছে। বলে, "তুলি, শরদিন্দুর গৌড়মল্লার পড়েছিস? সেখানে রাজা শশাঙ্কের ছেলে মানব কী বলছিলো? পরাজিতকে কেউ মনে রাখে না। সেখানে আমি ছিলাম ভীড়ের মানুষ, প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয়ের ভিক্টরি বেদীতে আমাকে দেখতে পাস নি, তাছাড়া নাচ-গান জানতাম না, ফাংশানে পরীর নাচে দেখিস নি, মনে থাকে কী করে বল? মনে রাখার কিছু একটা উপলক্ষ্য তো লাগবে!"

"সে আমিও তো সেখানে ভীড়ের মানুষই ছিলাম, নাচগান আমিও পারতাম না, মেধাতালিকায়ও উপরের দিকে ছিলাম না। তোরও নিশ্চয় সেখানের আমাকে মনে নেই?"

অন্বেষা কিন্তু অবাক করে দিয়ে বলে, " না, তোর একটা স্মৃতি আমার আছে। ক্লাস থ্রীতে তুই আর সায়ন্তনী একবার যুগ্মভাবে একটা কবিতা আবৃত্তি করেছিলি একটা হঠাৎ হওয়া ফাংশানে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পূজারিণী কবিতাটা। অত বড় কবিতা মাত্র কয়েকবার রিহার্সাল দিয়ে তোরা দু'জনে এমন সুন্দর পারফর্ম করেছিলি একসাথে, টিচাররাও অবাক! এখনো যেন শুনতে পাচ্ছি প্রথম স্তবক বললি তুই,

"সেদিন শারদ দিবা অবসান

শ্রীমতী নামে সে দাসী

পুণ্য শীতল সলিলে নাহিয়া

পুষ্পপ্রদীপ থালায় বাহিয়া

রাজমহিষীর চরণে চাহিয়া

নীরবে দাঁড়ালো আসি।"

তুই শেষ করতেই সায়ন্তনী ধরে নিলো একদম পুরো সঠিক টোনে,

"শিহরি সভয়ে মহিষী কহিলা

একথা নাহি কি মনে?

অজাতশত্রু করেছে রটনা

স্তূপে যে করিবে অর্ঘ্যরচনা

শূলের উপরে মরিবে সে জনা

নতুবা নির্বাসনে।"

তারপরের স্তবক আবার তুই। এরকম তো আগে হয় নি ওখানে, সবার চমক লেগেছিলো। "

ঐ ফাংশানের কথা আমারও মনে ছিলো না, অন্বেষার কথায় আবার মনে পড়লো ছায়া-ছায়া। আর আবার এই কথার সূত্রেও মনে পড়লো সায়ন্তনীকে। সে আজ তার ভাগটুকু না নিয়ে যাবে না।

দীঘা যাচ্ছিলাম আমরা স্কুল থেকে, ক্লাস ফোরের চল্লিশজন ছাত্রছাত্রী আর সঙ্গে আমাদের ক্লাস টিচার পরমাদিমণি আর আরেকজন দিদিমণি যিনি প্রকৃতিবিজ্ঞান পড়াতেন সেই সোমাদিমণি। আলাদা বাসভাড়া করে আমাদের যাওয়া, খুব ভোরে স্কুলের সামনে থেকেই ছাড়লো বাস। সেদিন যাওয়া, পরদিন থাকা, তারপরদিন ফেরা। আমাদের উৎসাহের শেষ নেই, এই প্রথম স্কুল থেকে এক্সকার্শানে যাওয়া। আগে তো এরকম হতোই না, নেহাত আমাদের ক্লাস টীচার নতুন যোগ দিয়েছেন কাজে, নতুন আদর্শবাদ তার ভিতরে টগবগ করছে। আমাদের সমুদ্র দেখাবেন, চারপাশের পরিবেশ বোঝাবেন, আরো কত কী করবেন। আমরাও টগবগ করছি সেই নয়/দশ বছরের নতুন কৈশোর টগবগেরই তো সময়।

গোটা পথে আনন্দ করতে করতে আমরা গেলাম, সমুদ্র দেখলাম, কিন্তু ফেরার পথে সবাই চুপ, পাথরের মতন ভারী হয়ে রইলো বাতাস। সবাই ফিরছে সায়ন্তনী বাদে। স্নান করতে নেমেছিলাম আমরা সবাই। কখন সায়ন্তনী ঢেউয়ের ধাক্কায় ডুবজলে চলে যায়। তারপরে আরো আরো গভীরে। সমুদ্র তাকে টান দিয়ে নিয়ে গেল, দেহটা ফিরে এলো পরে।

"অন্বেষা, তোর মনে পড়ে সেই দীঘা যাওয়া? সায়ন্তনী---- "

ও মাথা হেলিয়ে জানায় মনে পড়ে, আস্তে আস্তে বলে, "সেই মেয়ে দশ বছরেই থেমে রইলো, চিরদিনের কিশোরী। বড় হতে হতে মানুষের সংসারের শঠতা ক্রুরতা বিশ্বাস ভাঙা এসব আর দেখতে হলো না ওকে।"

নিশ্চুপ হয়ে যাই আবার আমরা, বাতাসও যেন চুপ। গর্ভবতী নিস্তব্ধতা। বহুযুগের ওপারের একটা বাচ্চা মেয়ে কাজলকালো চোখ দুটো মেলে আমাদের দিকে চেয়ে থাকে যেন। ওর ঠোঁটে অভিমানের রেখাগুলো পড়তে পারি, সে যেন বলছে, আমার যে আর বড়ো হওয়া হলো না!

সত্যি কি সে নেই? হয়তো ছড়িয়ে গেছে আমাদের সবার মধ্যে, বড় হয়েছে আমাদেরই নকশিকাঁথার মতন বিচিত্র জীবনে। আজকের এই স্মৃতিকথা, আগামীকালের অন্য কারুর আরো কোনো অন্য স্মৃতিকথা, এসব তো সেই তাদের জন্যও, চিরকিশোর-চিরকিশোরী সেইসব চলে যাওয়া বন্ধুরা, আমাদের জীবন্ত হৃদয়গুলোর প্রতি স্পন্দনে যারা রয়ে গেছে লীন হয়ে।

এখন একেবারে আলো কমে গেছে, একটা দুটো তারা ফুটছে। আমরা ফেরার পথ ধরি।

(চলবে )

No comments: