রাত্রি এক স্নিগ্ধ নদীর মত, ভোরের মোহনার দিকে বইছে চুপি চুপি। রাত্রি সেই প্রিয়তম মুখ, যা আমি কোনোদিন দেখিনি স্পষ্ট করে, স্বপ্নের ভিতরে আস্বচ্ছ নীলচে কুয়াশায় যে আকুল চোখ দুটি ভেসে থাকে।
বিস্মৃত এক সুবর্ণবেলাভূমি, নিরন্তর নীল সমুদ্র আছড়ে পড়ে যার বুকে, যেখান থেকে কেউ ফিরে আসে নি কোনোদিন-সেই উপকথার তীরভূমির মত এই রাত, দিনের রহস্যময়ী দিদি।
আমি আস্তে আস্তে ওর কোলে মাথা রাখি, চিৎ হয়ে শুয়ে চোখ মেলে দেখি আকাশে ফুটে উঠছে হাজার হাজার সহস্রদল পদ্ম।
পথেরা পথের মত থেকে যায়
নদীও নদীর মত উদাসীন বয়ে চলে-
অন্তর্জলিশয়ানে যে পড়ে থাকে
হাওয়া তার কাছে নিয়ে আসে
সুদূরের তরুক্ষীরগন্ধ।
মৃত্যুনীল চোখের পাতায়
শুক্ল রাত্রির জ্যোৎস্না ছুঁয়ে যায়,
তারারা ঝমঝম করে বাজে কানে-
সত্যিই ওপারের টান বড়ো গভীর।
ক্লান্ত প্রহরেরা ঘুম-ঘুম
ঘুমের ভিতর স্বপ্নেরা ছড়িয়ে যায়
অলীক পাখিদের নরম পালকের মতন,
ঘুম তো মৃত্যুর ছোটোবোন।
তার ভিতরকুঠুরিতে স্বপ্ন-
দিদির ভিতরকুঠুরিতে কি আরো উজল স্বপ্নেরা?
কেউ জানে না,কেউ দেখে আসেনি তো!
কোথায় কে যেন কাঁদে?
ছড়ানো ছেটানো টুকরো টুকরো বিলাপ,
একসাথে গাঁথা হলে প্রগাঢ় কান্না-
তবু শোনা যায় না
শ্রুতিতে অনন্ত অন্তর্জলি।
পথেরা পথের মত থেকে যায়
নদীও নদীর মত উদাসীন বয়ে চলে-----
Friday, June 6, 2014
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment